অযুর দোয়া ও নিয়ত

আপনি যদি অযুর দোয়া অযুর নিয়ত অযুর ফরজ ও অযুর সুন্নাত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেলে আমি অযুর দোয়া অযুর নিয়ত অজুর ফরজ ও অযুর সুন্নাত নিয়ে আলোচনা করব।

আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা অযুর দোয়া অযুর নিয়ত অযুর ফরজ ও অযুর সুন্নাত সমন্ধে জানতে পারবেন।

অজু হচ্ছে পবিত্রতা অর্জন এবং নামাজ আদায়ের প্রধান মাধ্যম। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য সর্বপ্রথম শর্ত হচ্ছে এই অজু। ওজু হচ্ছে নামাজের চাবি। আর নামাজ হচ্ছে জান্নাতের চাবি। হাদিসে অযুর কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে।

অযুর সময় পড়ার দোয়া

মহানবী (সা.) অযুর সময় নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়তেন—আরবি:

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগ ফিরলি জাম্বি ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দারি, ওয়া বারিকলি ফি রিজকি।

অর্থ : ‘আয় আল্লাহ আপনি আমার গুনাহ ক্ষমা করুন, আমার আবাস প্রশস্ত করে দিন, আমার রুজি রোজগারে বরকত দিন।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শারবা, হাদিস : ৫০/৬; তাবারানি, হাদিস : ৩৫৯/১৯; সুনানে কুবরা, হাদিস : ২৪/৬, মুসনাদে আবু ইয়ালা ৮১/১৫)

অযুর শেষে যে দোয়া পড়বেন

অজু করে নিম্নের দোয়াটি পড়লে জান্নাতের সব দরজা উন্মুক্ত হয়ে যায়।

উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন— যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করার পর উল্লিখিত দোয়া পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে নিজ ইচ্ছামতো যেকোনো দরজা দিয়েই তাতে যেতে পারবে।(তিরমিজি, হাদিস : ৫৫)

আরবি:

উচ্চারণ : আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু, আল্লাহুম্মাজ-আলনি মিনাত-তাওয়া-বিনা, ওয়াজ-আলনি মিনাল-মুতা-ত্বাহহিরিন।

অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।

অযুর নিয়ত

বাংলা উচ্চারণঃ “নাওয়াইতু আন আতাওয়াজ্জায়া লিরাফ’ইল হাদাছি ওয়াস্তিবাহাতাল লিছছালাতি ওয়া তাক্বাররুবান ইল্লাল্লা-হি তা’আলা”

অর্থঃ “আমি নাপাকি দূর করার জন্য, বিশুদ্ধভাবে নামাজ পড়ার ও আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে অজু করছি।”

অযুর ফরজ

ওযুর ফরজ চারটি। এগুলোর মধ্যে থেকে যদি একটিও বাদ পড়ে তাহলছ, অযু হবেনা। তাই এগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এগুলো হলো –

১.সমস্ত মুখমন্ডল কপালের উপরিভাগের চুলের গোড়া হইতে থুতনী পর্যন্ত, এক কর্নের লতি থেকে অন্য কর্নের লতি পর্যন্ত ধৌত করা।

২.দুন হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।

৩.মাথার চারভাগের একভাগ মাসেহ করা ( ঘন দাঁড়ি থাকিলে আঙ্গুলী দ্বারা খেলাল করা ফরয )।

৪.উভয় পা টাখনু গিরা সহ ধৌত করা।

ওযুর সুন্নত

অযুর সুন্নাত ১৪ টি। এগুলো হলো –

১.নিয়ত করা।

২.বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করা।

৩.হাতের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা।

৪.উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা।

৫.মিসওয়াক করা।

৬.৩ বার কুলি করা।

৭.নাকে পানি দেওয়া তিনবার।

৮.পুরো মুখমন্ডল তিনবার ধৌত করা।

৯.দু হাত কনুই সহ তিনবার ধোওয়া।

১০.সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করা।

১১.উভয় পা টাখনু সহ তিনবার ধৌত করা।

১২.পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা।

১৩.এক অঙ্গ শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।

১৪.ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ওযুর কাজ গুলো সম্পূর্ন করা।

শেষ কথা

তো এই ছিল আজকের আর্টিকেলে। আজকের আর্টিকেলে আমি অজুর দোয়া, অযুর নিয়ত,ওযুর ফরজ, অযুর সুন্নাত নিয়ে আলোচনা করেছি।আশা করি আপনারা এ হতে উপকৃত হবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button