ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? কখন ওযু করা ফরজ?

আপনি যদি ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি এবং কখন ওযু করা ফরজ সে সম্বন্ধে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
আজকের আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? এবং আরো জানতে পারবেন যে কখন ওযু করা ফরজ এবং কখন ওযু করা ওয়াজিব সেই সম্বন্ধে।
ইসলামের বিধান অনুসারে ওযু হল দেহের অঙ্গ-পতঙ্গ ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। পবিত্র কোরআনে আছে -‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবাকারীকে ভালবাসেন এবং যাহারা পবিত্র থাকে তহাদিগকেও ভালবাসেন। ’-(সূরা বাকারা,আয়াত:২২২)। আসুন এবার জানি ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? এবং কখন ওযু করা ফরজ? সেই সম্বন্ধে।
আরও পড়ুন: অযুর দোয়া ও নিয়ত
ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি?
অজুর ফরজ মোট চারটি। সেগুলো হচ্ছে:
১। সমস্ত মুখ ভালভাবে ধৌত করা।
২। দুই হাতের কনুইসহ ভালভাবে ধৌত করা।
৩। মাথা চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ্ করা।
৪। দুই পায়ের টাকনুসহ ধৌত করা।
ওযু করতে গেলে এই চারটি কাজ করতেই হবে তাছাড়া ওযু হবে না।
কখন অজু করা ফরজ?
চারটি অবস্থায় কোন ব্যক্তির ওযু করা ফরজ। সেগুলো হচ্ছে:
১.যেকোনো নামাজ আদায়ের জন্য। ফরজ, ওয়াজিব কিংবা নফল নামাজ। (বুখারি, হাদিস : ১৩২)
২.জানাজার নামাজ পড়পার জন্য। অবশ্য জেনে রাখা উচিত, জানাজা দোয়া। মৌলিক কোনো নামাজ নয়। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৪৩৫)
৩.সিজদায়ে তিলাওয়াতের জন্য। অর্থাৎ কোরআনের যেসব নির্দিষ্ট আয়াত তেলাওয়াত করলে বা শুনলে সিজদা দেওয়া ওয়াজিব, সেই সিজদা আদায়ের জন্য অজু করা। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস : ৪৩৫)
৪.পবিত্র কোরআন স্পর্শ করার জন্য। অনুরূপভাবে অজু ছাড়া ব্যক্তি যদি পবিত্র কোরআনের আয়াত-লিখিত— দেয়াল, কাগজ, টাকা ও অন্যান্য যেসব কিছু-ই ছুঁতে চাইবে, তার জন্য অজু করা ফরজ। (সুরা ওয়াকিয়া, আয়াত : ৭৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা : ১/১১৩)
কখন অজু করা ওয়াজিব?
১.আল্লাহর ঘর পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করার জন্য অজু করা ওয়াজিব। কেবল এই কাজের জন্যই অজু করা ওয়াজিব। (তিরমিজি, হাদিস : ৮৮৩)
আরও পড়ুন: রোজা রাখার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
শেষ কথা
এই ছিল আজকের আর্টিকেলে। আজকের আর্টিকেলে আমি আলোচনা করেছি ওযুর ফরজ কয়টি ও কি কি? এবং কখন ওযু করা ফরজ? কখন ওযু করা ওয়াজিব? এইসব নিয়ে। আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।